বাংলাদেশের পুরোনো যে সংবিধান সেখানে শ্রমিকদের অধিকার, জনতার অধিকার নিশ্চিত করা হয়নি মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘এই সংবিধান বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তি দিতে পারে নাই। আমরা বাংলাদেশ সরকার ও রাজনৈতিক দলের কাছে আহ্বান করছি অবশ্যই শ্রমিকের অধিকারের কথা, জনতার অধিকারের কথা থাকে এমন একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।’
তিনি বলেন, চব্বিশের অভ্যুত্থানের পরও শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করা যায়নি। শ্রম সুপারিশ কমিটি গঠন করা হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। বাংলাদেশের মানুষের কথা, শ্রমিকদের কথা নতুন এই সংবিধানে পরিষ্কারভাবে সুরক্ষিত করতে হবে।’
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় চান্দনা স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে পরিবহণ, গার্মেন্টস, হকারসহ শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের লক্ষে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আখতার বলেন, ‘আমাদের শ্রমিক ভাইয়েরা বিভিন্ন ঝুঁকিতে কাজ করে কিন্তু সেখানে এখনো তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি। আমাদের শ্রমিকরা যে শ্রম দেয়, সেই শ্রমে সরকার চলে, দেশ এগিয়ে যায়; কিন্তু এখন পর্যন্ত শ্রমিকদের নায্যতা নিশ্চিত করা হয়না।’
তিনি বলেন, ‘শ্রমিকরা নায্য মূল্য পায় না, কখন নিশ্চিত করা হবে তাও নিশ্চিত নয়। শ্রমিকরা সংখ্যাগরিষ্ঠ কিন্তু অফিস আদালত ও সরকারি সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে শ্রমিকরা বঞ্চিত থেকেছে সবসময়। তাই আমরা বলতে চাই শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, শ্রমিকদের মর্যাদা দিতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গাজীপুর জেলা মহানগর শ্রমিক উইংয়ের আয়োজনে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন এনসিপি শ্রমিক উইংয়ের প্রধান সমন্বয়কারী মাজহারুল ইসলাম ফকির।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাসের খান, এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মুহিম, রিয়াজ মোর্শেদ, বশির আহম্মেদ, শ্রমিক নেতা আরমান হোসেনসহ এনসিপির কেন্দ্রীয় ও শ্রমিক উইংয়ের শীর্ষ নেতারা।
সকাল নিউজ/এসএফ