আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রবাসী আন্তর্জাতিক তরুণ উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক শিহাব আহমেদ। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি তিনি তুরস্কের নাগরিত্বও প্রত্যাহার করেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরেছেন। তার এই ফেরা উপলক্ষে উচ্ছ্বসিত হাতীবান্ধা-পাটগ্রামবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, জনদরদী শিহাব আহমেদের এই আগমনকে স্মরনীয় করে রাখতে হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম উপজেলায় এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে। আগামীকাল
মঙ্গলবারের এই যাত্রা উপলক্ষে হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণের পক্ষ থেকে বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে দুই উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১৮৯টি ওয়ার্ড থেকে অংশগ্রহণ করবেন শত শত তরুণসহ সাধারণ জনগণ। এদিন শিহাবকে হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামের জনগণ স্বাগত জানাবেন।
শিহাব আহমেদ ২০১৬ সালে তুরস্কে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সেখানে গড়ে তোলেন অটোম্যান গ্রুপসহ আরও অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আফ্রিকা চাঁদ ও বাংলাদেশেও তার মালিকানায় একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৮ বছর ধরে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামে সাধারণ মানুষের মনে আস্থার প্রতীক হিসেবে
জায়গা করে নিয়েছেন শিহাব। দারিদ্র্যর সঙ্গে লড়াই করে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই উদ্যোক্তা ৮ বছরে ২৫ হাজার পরিবারে নলকূপ স্থাপন, এক হাজারের বেশি মসজিদ-মাদ্রাসায় এতিম খানায় ওযুখানা নির্মাণ, শারীরিক প্রতিবন্ধিদের হুইল চেয়ার প্রদান, মেধাবীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, শিশু বিকাশ একাডেমি ও টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া দুর্যোগকালীন অসহায় মানুষের পাশে থেকেছেন সব সময়। এছাড়া ইতিমধ্যে তিনি দুই উপজেলার প্রায় ২০০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
নির্বাচনী অঙ্গীকারে সমাজসেবক শিহাব আহমেদ জানিয়েছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ হাজার তরুণের কর্মসংস্থান এবং ২ হাজার তরুণকে বিদেশে চাকরির সুযোগ করে দিতে চান তিনি। পাশাপাশি দুই উপজেলাকে বেকারত্বমুক্ত ঘোষণা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
সংসদ সদস্য প্রত্যাশী শিহাব আহমেদ আরও বলেন, আমি চাইলে পরিবার নিয়ে আরাম-আয়েশে বিদেশে সেটেল হতে পারতাম। কিন্তু দেশের টানে, এদেশের মাটি ও মানুষের টানে দেশেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে করে হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামসহ এদেশের মানুষের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিতে পারি। সমাজ ও দেশের কল্যাণে সেবা প্রদানের মাধ্যমে একটু হলেও ভূমিকা রাখতে পারি।
তরুণ উদ্যোক্তা শিহাব আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে বেশিরভাগ সময়ে প্রতিহিংসার রাজনীতি
লক্ষ করা যায়। কিন্তু আমি প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে আসিনি, এসেছি মানুষের সেবা করতে। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে। এবারের নির্বাচনে জয়ী হলে হাতীবান্ধা-পাটগ্রামের প্রতিটি ঘরে কর্মসংস্থানের আলো জ্বলবে ইনশাআল্লাহ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রত্যাশী শিহাব আরো জানিয়েছেন, আগামীকালের র্যালির মাধ্যমে ঐক্য, উন্নয়ন ও পরিবর্তনের অঙ্গীকার ছড়িয়ে দেওয়া হবে প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি বাজারে। আমাদের লক্ষ্য- একসাথে এগিয়ে যাওয়া, ভালোবাসা ও সহযোগিতার বার্তা পৌঁছে দেওয়া।

