ঢাকা মহানগরীতে দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা যাকে অনেকে ব্যঙ্গ করে বলেন ইলন মাস্কের টেসলা। রাজধানীর প্রতিটি সড়কেই এখন এ যানবাহনের উপস্থিতি চোখে পড়ে। রাজধানীর প্রতিটি পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে প্রধান সড়কেও দেখা মিলছে এ রিকশার। যাত্রীদের কাছে এটি যেমন দ্রুত এবং সাশ্রয়ী যাতায়াতের মাধ্যম, তেমনি চালকদের কাছেও উপার্জনের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছে।
একজন যাত্রী বলেন, আগে রিকশায় যেতে সময় বেশি লাগত, এখন ব্যাটারি রিকশায় কয়েক মিনিটেই গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া যায়। তবে হঠাৎ গাড়ি বন্ধ হয়ে গেলে সমস্যায় পড়তে হয়। শারীরিক শ্রম বেশি না থাকায় চালকরা অতি দ্রুত গাড়ি চালানোর চেষ্টা করে এতে অনেক সময়ই দুর্ঘটনার স্বীকার হয় পথচারী ও অনন্য যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
কিন্তু নগর বিশেষজ্ঞদের মতে, এ রিকশাগুলোর কোনো নিবন্ধন নেই, নেই নির্দিষ্ট নীতিমালা। ফলে যানজট বাড়ছে, বিদ্যুতের অপব্যবহার ঘটছে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে। তাদের দাবি, যদি এই পরিবহন নিয়ন্ত্রণে আনা না যায় তবে ঢাকার ট্রাফিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।
রাজধানীর রাস্তায় সুবিধা-অসুবিধার এ মিশ্র চিত্রের মধ্যেই চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশার অবাধ চলাচল। যাত্রী-চালকের জন্য আর্থিক স্বস্তি হলেও, নগরীর জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন সংকট। তাই নগরবাসীর একটাই প্রত্যাশা এ যানবাহন দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।”
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মেহেদী হাসান বলেন পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে অভিযান পরিচালনা করতে চাইলে অবশ্যই পুলিশ সহযোগিতা করবে। এছাড়া পুলিশ এককভাবে ওটা করতে যাবে না কারণ এটি পুলিশের অথরিটি নয় বা পুলিশ এটিকে লাইসেন্স দেয় না।