রংপুরের তারাগঞ্জে নিজ বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধা দম্পতিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর চাকলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তারাগঞ্জ থানার এসআই ছাইয়ুম হোসেন রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় রহিমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক যোগেশ চন্দ্র বর্ম্মন (৭০) ও তার স্ত্রী সুবর্না রানীকে (৬৫) রহিমাপুর চাকলা গ্রামে বসবাস করেন। ওই দম্পতির বড় ছেলে সুবেন চন্দ্র রায় ও ছোট ছেলে রাজেশ খান্না পুলিশে কর্মরত আছেন। তারা তাদের কর্মস্থলে আছেন।
স্থানীয় দিপক রায় জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়িতে কাজ করেন। প্রতিদিনের মতো আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে বাড়ির গেটের সামনে এসে ডাকাডাকি করেন তিনি। তবে কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দাসহ মই দিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে স্বামী-স্ত্রী দুজনের গলাকাটা লাশ দেখতে পান।
তারাগঞ্জ উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পাপন দত্ত জানান, নিহত মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র বর্ম্মন ও তার স্ত্রী সুবর্না রানীকে শনিবার রাতের যেকোন সময় দুবৃর্ত্তরা ঘরে ঢুকে জবাই করে হত্যা করে।
খবর পেয়ে তারাগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তারাগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোনাববর হোসেন ও থানার এসআই ছাইযুম হোসেন।
জানা গেছে, নিহত মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র বর্ম্মন স্থানীয় চাকলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি ওই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন। কিন্তু করা কী কারণে তাদের হত্যা করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ওই দম্পতির দুই ছেলে সুবেন চন্দ্র রায় এএসআই হিসেবে জয়পুরহাটে ও ছোট ছেলে রাজেশ খান্না রায় ঢাকায় পুলিশে কর্মরত রয়েছেন।
সকাল নিউজ/এসএফ

