সারা বিশ্বের প্রতিযোগীদের পিছনে ফেলে ৭৪তম মিস ইউনিভার্স খেতাব জিতে নিলেন মেক্সিকোর সুন্দরী ফাতিমা বশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শতাধিক প্রতিযোগীকে পরাজিত করে এই মর্যাদাপূর্ণ মুকুট অর্জন করেন তিনি।
থাইল্যান্ডের প্রাভিনার সিং নির্বাচিত হয়েছেন প্রথম রানার-আপ। বিজয়ীর মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন গত আসরের মিস ইউনিভার্স ডেনমার্কের ভিক্টোরিয়া কেয়ার থেইলভিগ। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক শহরে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে শুরু হয় মিস ইউনিভার্স ২০২৫-এর ফাইনাল পর্ব, যেখানে চূড়ান্ত পর্বে সেরার খেতাব জেতেন ফাতিমা বশ।
ফাতিমার এই সাফল্যের মাধ্যমে পাঁচ বছর পর আবারও মেক্সিকো মিস ইউনিভার্সের খেতাব জিতল। এর আগে ২০২০ সালে আন্দ্রেয়া মেজা দেশের জন্য শিরোপা এনে দেন।
তাবাস্কো থেকে উঠে আসা মেক্সিকোর প্রথম ‘মিস ইউনিভার্স’ ফাতিমা বশ। মঞ্চে আত্মবিশ্বাস, আভিজাত্য ও দৃঢ়তায় দর্শকদের মুগ্ধ করলেও ফাতিমার পথচলাটি মোটেও সহজ ছিল না। ইতিহাস গড়া প্রথম জাতীয় জয় থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের উত্তপ্ত বিতর্ক-সব মিলিয়ে তার যাত্রা যেন ছিল এক নাটকীয় রোলার কোস্টার।
ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ‘মিস ইউনিভার্স’ ২০২৫ অনুষ্ঠানে বিতর্কের কেন্দ্রে পড়েন ফাতিমা বশ। আয়োজকদের মধে৵র এক কর্মকর্তা নাওয়াত ইতসারাগ্রিসিল অভিযোগ তোলেন, ফাতিমা থাইল্যান্ডকে সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে যথেষ্ট প্রচার করেননি।
তিনি ফাতিমাকে ‘ডাম্বহেড’ (বোকা) বলেও কটূক্তি করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে কয়েকজন প্রতিযোগী অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীকে ডাকতে হয়। পরে সাংবাদিকদের ফাতিমা বলেন, ‘তিনি আমাকে “ডাম্ব” বলেছেন। কারণ, তাঁর সংস্থার সঙ্গে সমস্যা আছে, আর সেটি অন্যায়। কেউ আমাদের চুপ করাতে পারবে না।’
এ ঘটনার পর দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায় ‘মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন’। সংস্থার সভাপতি রাউল রোচা নাওয়াত ইতসারাগ্রিসিলের আচরণকে তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন।
সব বিতর্কের মাঝেও নিজের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি ফাতিমা বশ। ভক্তদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি নিজের কথা বলতে ভয় পাই না। আমার কণ্ঠ এখন আগের চেয়েও শক্তিশালী। আমার বলার মতো অনেক কিছু আছে… আমি সাজানো পুতুল নই, যার জামা বদলানো হবে, সাজানো হবে। আমি এখানে এসেছি সব সেই নারী ও মেয়েদের কণ্ঠস্বর হতে, যারা তাদের অধিকার ও স্বপ্নের জন্য লড়াই করছে।’
এদিকে, বিশ্বের অন্যতম এই মর্যাদাপূর্ণ আসরে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছিলেন তানজিয়া জামান মিথিলা। ১২২টি দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন সেরা ৩০-এ। যদিও শেষ হাসিটা হাসা হয়নি, তবু বাংলাদেশের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক অর্জন।
সকাল নিউজ/এসএফ

