ওরাকলের ল্যারি এলিসন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার সকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য ইলন মাস্ককে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির খেতাব অর্জন করেন। এতে করে মুহূর্তের মধ্যেই বিশ্বের শীর্ষ ধনীর খেতাব হারিয়ে বসেন দীর্ঘ সময় থেকে শীর্ষে থাকা ইলন মাস্ক।
মজার বিষয় হচ্ছে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও শীর্ষ ধনীর তকমা ফিরে পেয়েছেন স্পেসএক্স ও টেসলার সিইও ইলন মাস্ক। এমন চমকপদ তথ্যই জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
জানা গেছে, ল্যারি এলিসনের সফটওয়্যার কোম্পানির শেয়ারের মূল্য মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় এলিসনের ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণও বাড়ে। সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ৮১ বছর বয়সি এ ব্যবসায়ীর সম্পদের পরিমাণ ৩৯৩ বিলিয়ন ডলারে উঠে আসে। এর মাধ্যমে তিনি মাস্কের চার বছরের রাজত্ব ভেঙে শীর্ষ ধনী বনে যান।
তবে, দিন শেষে আবারও মাস্ক শীর্ষ ধনীতে ফিরেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তার সম্পদের পরিমাণ ৩৮৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। অপরদিকে ল্যারির সম্পদের পরিমাণ ৩৮৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। তাদের মধ্যে এখন ১ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য রয়েছে। এলিসনের এই উত্থান মূলত ওরাকলের একটি ত্রৈমাসিক আয়ের প্রতিবেদনের ফলে হয়েছে। যেখানে হাজার হাজার অর্ডার পাওয়ার তথ্য জানানো হয়।
অবশ্য, মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ নিয়ে বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন তথ্য দিয়ে থাকে। ফোর্বসের হিসাবে মাস্কের সম্পদের পরিমাণ একটি। আবার ব্লুমবার্গের হিসাবে অন্যটি। এ পার্থক্যের প্রধান কারণ হলো মাস্কের ব্যক্তিগত কোম্পানিগুলোর সম্পদ মূল্যায়নের ক্ষেত্রে তাদের ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি।
সকাল নিউজ/এসএফ