Author: Admin

ভারী বৃষ্টি সাথে উজানের ঢলে উত্তরের সীমান্তবর্তী লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমায় প্রবেশ করেছে। রোববার (৩ আগস্ট) সকাল ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ৫২.১৫ মিটার, যা বিপদসীমার সমান। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ১৬ ঘণ্টায় তিস্তার পানি ২৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে। শনিবার রাতেও যেখানে পানি ছিল বিপদসীমার নিচে, সেখানে এখন তা সমান হয়ে গেছে। অবস্থা বিবেচনায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেটই খুলে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে তিস্তা ব্যারাজের লেভেল রিডার নুরুল ইসলাম বলেন, “শনিবার রাত থেকে পানির গতি দ্রুত গতিতে বেড়েছে। এখন তা বিপদসীমায় প্রবাহিত হচ্ছে।” এরই মধ্যে নদীতীরবর্তী নিচু এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এছাড়াও,…

বিস্তারিত

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের নামে ইউএনওর স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির প্রভাষক হাছেন আলীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় হাছেন আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম মিঞা। হাছেন আলী চলতি বছর ১৩ মে থেকে ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি জানাজানির পর বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা জামায়াতের আমিরের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা কমিটি। জানা গেছে, কলেজটি এমপিওভুক্ত হওয়ার পরে অধ্যক্ষের দাবিদার হাছেন আলীসহ ৪ জন। এ নিয়ে ৪ জনই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। ফলে সরকার ঘোষিত এমপিওর সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কলেজটির শিক্ষক-কর্মচারীরা। তবে ২০২৪…

বিস্তারিত

জ্বালানি তেলের দামে চলতি আগস্ট মাসেও স্বস্তি থাকছে ভোক্তাদের জন্য। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়া-কমার মধ্যেও দেশে বিদ্যমান দামই বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১ আগস্ট থেকে কার্যকর এই সিদ্ধান্তে আগস্ট মাসজুড়ে ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের দামে কোনো পরিবর্তন আসছে না। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈশ্বিক বাজারের দামের ওঠানামার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের স্বয়ংক্রিয় প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসরণ করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূল উদ্দেশ্য হলো, ভোক্তাপর্যায়ে জ্বালানি তেলের সহজলভ্যতা ও মূল্য সহনীয় রাখা। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগস্ট মাসে জ্বালানি তেলের দাম হবে— ডিজেল: প্রতি লিটার ১০২ টাকা…

বিস্তারিত

সম্প্রতি প্রকাশিত পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপে উঠে এসেছে, তুরস্কে ইসরায়েলের প্রতি সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত নেতিবাচক। জরিপ অনুযায়ী, ৯৩ শতাংশ তুর্কি নাগরিক ইসরায়েলকে নেতিবাচকভাবে দেখে। বিপরীতে, মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ দেশটির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন এবং তুরস্কের জনগণের ঐতিহাসিক সহানুভূতির কারণেই এমন দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে উঠেছে।

বিস্তারিত

হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল শেখ নাইম কাসেম বলেছেন, হিজবুল্লাহর কাছে যারা অস্ত্র জমা দেওয়ার কথা বলছে, তারা আসলে ইসরাইলের হাতকে আরও শক্তিশালী করার পথ দেখাচ্ছে। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, “যারা আমাদের অস্ত্র ফেলে দিতে বলছে, তারা বাস্তবে চাইছে যেন আমরা ইসরাইলের হাতে আত্মসমর্পণ করি। কিন্তু সেটা কখনোই হবে না।” তিনি সাফ জানিয়ে দেন, আমরা কখনোই ইসরাইলের কাছে আত্মসমর্পণ করবো না। নাইম কাসেম আরও বলেন, হিজবুল্লাহ তাদের প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে যতক্ষণ পর্যন্ত দখলদারিত্ব এবং আগ্রাসন চলবে। তাদের অস্ত্র শুধুই আত্মরক্ষার হাতিয়ার, যা কোনো চাপেই তারা ত্যাগ করবে না।

বিস্তারিত

চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা যাতে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে লক্ষ্যেই তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েলিংটন কু’র সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নির্ধারিত প্রতিরক্ষা বৈঠক শেষ মুহূর্তে বাতিল করে দিয়েছে ওয়াশিংটন। আগামী জুনে এই বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল, যেখানে কু’র দেখা করার কথা ছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা নীতির অন্যতম প্রধান স্থপতি এলব্রিজ কলবির সঙ্গে। তবে কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার কৌশলের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে আপাতত এমন উচ্চপর্যায়ের প্রতিরক্ষা আলোচনা থেকে বিরত থাকার। বিশ্লেষকরা বলছেন, ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপ মূলত চীনের সঙ্গে চলমান অর্থনৈতিক ও কৌশলগত আলোচনায় উত্তেজনা এড়ানোর একটি প্রয়াস হিসেবেই দেখা হচ্ছে। সূত্র: ফিনান্সিয়াল টাইমস

বিস্তারিত

জার্মানি তাদের প্রতিরক্ষা খাতে বিশাল পরিমাণে বিনিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে। দেশটির সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই পরিকল্পনার আওতায় যুক্ত করা হচ্ছে নানা আধুনিক অস্ত্র ও প্রযুক্তি। প্রস্তাবিত ক্রয় তালিকায় রয়েছে –১/ ২০টি ইউরোফাইটার যুদ্ধবিমান২/ প্রায় ৩,০০০ বক্সার সাঁজোয়া যান৩/ ৩,৫০০টি প্যাট্রিয়া ইনফ্যান্ট্রি ফাইটিং ভেহিকল (IFVs) এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে শুধু জার্মানির প্রতিরক্ষা শক্তিই বহুগুণে বাড়বে না, একইসঙ্গে ইউরোপের সামরিক শিল্প খাতেও এর বড় প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক বৈশ্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও ইউরোপে উদ্ভূত ভূরাজনৈতিক টানাপড়েনের প্রেক্ষাপটে জার্মানির এমন পদক্ষেপ সময়োপযোগী এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

বিস্তারিত

সিরিয়ার ভেতরে একটি আন্তর্জাতিক মাদক চক্র ভেঙে দিয়েছে ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই অভিযানে ইরাক সরকার সিরিয়ার আসাদ প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে কাজ করেছে। আসাদ সরকারের পতনের পর দুই দেশের মধ্যে এটিই প্রথম এমন সহযোগিতা যেখানে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে বড় ধরনের মাদক পাচার প্রতিরোধ করা হলো। অভিযানে প্রায় ১.৩ মিলিয়নেরও বেশি ক্যাপটাগন নামের নিষিদ্ধ ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে, যা সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে অবৈধভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মাদক শুধু মাদকদ্রব্য হিসেবেই নয়, বরং আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে উঠেছে। তাই এই অভিযানকে দুই দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিস্তারিত

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে চলেছে কানাডা। দেশটির সরকার ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে যখন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে, তখন সেখানেই কানাডা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। এই সিদ্ধান্তকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটে এমন অবস্থান নেওয়া অনেক দেশের পক্ষেই রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর বিষয়। তবে কানাডা জানিয়েছে, টেকসই শান্তি ও স্থায়ী সমাধানের জন্য ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এখন সময়ের দাবি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও, কানাডার এই সিদ্ধান্তকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে—কারণ এটি একটি প্রভাবশালী পশ্চিমা…

বিস্তারিত

বুধবার (৩০ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পরিষদের একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। এসময় তিনি প্রশ্ন তোলেন, আসলে নির্বাচন হবে কবে? তিনি বলেন, একটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার পতন তখনই প্রকৃত সফল হয়, যখন সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। যদি জনগণের কাছে গণতন্ত্র পুরোপুরি ফিরে না আসে, তাহলে আবারও স্বৈরশাসনের হুমকি থেকে যাবে। যারা আজ নানা ধরনের যুক্তি বা অজুহাত তুলে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করছেন, তারা মূলত স্বৈরতন্ত্রকেই শক্তিশালী করার পথ প্রশস্ত করছেন। তিনি বলেন, বিএনপি এই সরকারের সাথে গণতন্ত্র ইস্যুতে একমত। প্রায় দেড় দশকের বেশি সময় ধরে বিএনপি গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, বিরোধিতা করছে স্বৈরতন্ত্রের। অথচ অনেকে বিএনপির সেই…

বিস্তারিত