ওয়ানডেতে জয় পাওয়া যেন ভুলেই গিয়েছিল বাংলাদেশ। সর্বশেষ ১৩ ম্যাচে মাত্র একটি জয় পেয়েছিল। শনিবারও যেন একই পথে হাটছিল মেহেদী হাসান মিরাজের দল। টানা ৪ হারের পর আজ জয়ের মুখ দেখেছেন মুস্তাফিজুর রহমানরা। মিরপুরে ৭৪ রানের বিশাল জয়ে স্বস্তির শ্বাস ফেলল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ১০৪৬ দিন পর অবশেষে মিরপুরে জয় ধরা দিল বাংলাদেশের হাতে।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০৮ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে ৫১ রান তুলে লক্ষ্যটা আরো সহজ করেন দুই ওপেনার অ্যালিক অ্যাথানাজে ও ব্র্যান্ডন কিং। এমন কঠিন মূহূর্ত থেকে জিততে হলে অবিশ্বাস্য কিছু করা প্রয়োজন বাংলাদেশের।
মিরপুরের কালো উইকেটের সহায়তা নিয়ে অবিশ্বাস্য কিছুই করলেন রিশাদ হোসেন। লেগস্পিনের মায়াজাল তৈরি করলেন ২৩ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। তাতে একে একে প্রথম ৫ উইকেট শিকার করলেন তিনি। ১ উইকেটে ৭৯ রান করা দলটাই একটা সময় ৯২ রানে ৫ উইকেটে হারিয়ে বসে।
তাতেই জয় নয়, কেবল মাত্র হারের শঙ্কায় পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষে তাই ঘটেছে রিশাদের সঙ্গে পরে উইকেট উদযাপনে মাতেন মুস্তাফিজ-মিরাজরা। পরে ১৩৩ রান তুলতেই ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস গুটিয়ে যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ উইকেট নিয়ে ইনিংসও মুড়িয়ে দেন রিশাদই। তাতে ৩৫ রান খরচ করে ৬ উইকেট নেন তিনি।
এই প্রথম ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৫ উইকেট পেয়েছেন রিশাদ। এমন কীর্তি গড়ার পথে একটা রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। বাংলাদেশের ডানহাতি স্পিনার হিসেবে ওয়ানডেতে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি। আগের রেকর্ডটি ছিল রাজিন সালেহর। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন অফস্পিনার।
এছাড়া বাংলাদেশের প্রথম স্পিনার হিসেবে ৬ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন রিশাদ। সব মিলিয়ে চতুর্থ বোলার হিসেবে এই রেকর্ড গড়েছেন। তার আগে এই কীর্তি গড়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজুর।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং নেমে প্রথম ওয়ানডেতে ২০৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে ফিফটি করেছেন তাওহিদ হৃদয়। তার ৫১ রানের বিপরীতে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে ৪৬ রান করেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। অবদান রাখেন ২০০ স্ট্রাইক রেটে ২৬ রান করা রিশাদও।
সকাল নিউজ/এসএফ

