সদ্য অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে নবনির্বাচিত কমিটিকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে এবং ‘কারচুপির’ অভিযোগ তুলে দেশের সব ধরনের ঘরোয়া ক্রিকেট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকার ক্লাবগুলোর প্রভাবশালী একটি অংশ। এতে করে আরও ঘনীভূত হলো বিসিবি নির্বাচন পরবর্তী সংকট।
আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা মাসুদুজ্জামান।
‘ঢাকা ক্রিকেট ক্লাব অর্গানাইজার’-এর ব্যানারে আয়োজিত এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে প্রায় ৪০টি ক্লাবের সংগঠকরা যোগ দেন।
এ সময় মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা এই নির্বাচনটাই মানি না। গত ৬ তারিখের নির্বাচন কারচুপির সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আমরা মনে করি, নবনির্বাচিত সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল অবৈধ। যেহেতু ক্রিকেটের সৌন্দর্যই হারিয়ে গেছে, তাই আমরা ঘোষণা দিচ্ছি যে, প্রিমিয়ার ডিভিশন থেকে শুরু করে সব স্তরের লিগে আমরা আর অংশ নেব না। আপাতত ক্রিকেট বন্ধ থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সামনে ফেডারেশন ক্রিকেট লিগ আছে, সেখান থেকে যাবতীয় দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ আছে, দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ থেকে প্রথম বিভাগ, প্রিমিয়ার ডিভিশন আমরা যে সব ক্লাব আছি ভেবেছিলাম অংশ নেব। আজ থেকে আমরা বলতে চাই ক্রিকেটের সৌন্দর্য হারিয়েছে।’
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনারা যদি এভাবে চলতে চান আমরা ক্রিকেট খেলব না। আপনারা যারা ক্লাব প্রতিনিধি আছেন কাউকে যদি হুমকি দেয়া হয়, ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলা হয় আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। আপাতত ক্রিকেট বন্ধ থাকবে। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি।’
এর আগে, নির্বাচনকে সামনে রেখে এই ক্লাবগুলো তিনটি দাবি জানিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল নির্বাচন পুনঃতফসিল অথবা অ্যাডহক কমিটি গঠন করে নতুন ভোটগ্রহণ। এই দাবিতে তারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছিল। কিন্তু তাদের দাবি উপেক্ষা করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় এবার ঘরোয়া ক্রিকেট বর্জনের মতো কঠিন পথে হাঁটল ক্লাবগুলো।
সকাল নিউজ/এসএফ