রাজধানীর উত্তর-পূর্ব প্রান্তে গড়ে ওঠা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা। প্রশস্ত সড়ক, আধুনিক পরিবহনব্যবস্থা, ছয়টি মেট্রো স্টেশনের সংযোগ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আর বিমানবন্দরের কাছাকাছি অবস্থান- সব মিলিয়ে এই আবাসন প্রকল্প যেন হয়ে উঠছে ঢাকার নতুন ‘সেন্টার অব কানেক্টিভিটি’।
প্রকল্পের উত্তর দিকে রয়েছে ৩০০ ফিট সড়ক ও ২০০ ফিট লেকসংবলিত এক্সপ্রেস হাইওয়ে। দক্ষিণে চার লেনবিশিষ্ট ১২০ ফিট মাদানি এভিনিউ। প্রকল্পের অভ্যন্তরে প্রতিটি প্লটের সামনে কমপক্ষে ২৫ ফিট রাস্তা। এছাড়া রয়েছে ২০০ ফিট, ১৩০ ফিট, ১০০ ফিট, ৮০ ফিট, ৬০ ফিট, ৫০ ফিট ও ৪০ ফিটের সড়ক নেটওয়ার্ক।
রাজধানীর যোগাযোগব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে স্মার্ট সিটি বসুন্ধরা। এমআরটি-১ ও এমআরটি-৫ প্রকল্পের আওতায় এখানে নির্মিত হচ্ছে ছয়টি মেট্রো স্টেশন। যা নির্মাণাধীন রয়েছে- ভাটারা, নতুনবাজার, নদ্দা, জোয়ারসাহারা, বসুন্ধরা ও মস্তুল এলাকায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এসব স্টেশন চালু হলে বসুন্ধরার সঙ্গে ঢাকার সব প্রান্তে দ্রুত ও সহজ যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। এতে যানজটমুক্ত ও সময়সাশ্রয়ী যাতায়াত সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা শুধু একটি পরিকল্পিত জনপদই নয়, বরং রাজধানীর যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে।
রাজধানীতে রিকশার বাড়তি ভাড়ার ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে বৈদ্যুতিক শাটল বাস সার্ভিস। এতে খুশি স্কুল শিক্ষার্থীরা। একসঙ্গে ১০ থেকে ১২ জন বসতে পারে এই বাহনে। রিকশায় যেখানে ৪০ থেকে ৫০ টাকা ভাড়া, সেখানে শাটল বাসে ভাড়া মাত্র ১০ টাকা। এটি পরিবেশবান্ধব, আরামদায়ক এবং নিরাপদও।
জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে বসুন্ধরার ৩০০ ফিট মুখ থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের পকেট গেট পর্যন্ত দুটি শাটল বাস চলছে। প্রতিটি বাসে ছয়টি ব্যাটারি রয়েছে, যা একবার চার্জে প্রায় ৮০ কিলোমিটার চলতে পারে। শিগগিরই গাড়ির সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে।
সকাল নিউজ/এসএফ