তৃতীয় দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ফরিদপুর-২ ও ৪ আসনের স্থানীয় জনতা। ফরিদপুর-৪ আসন থেকে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন কেটে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে করা এই অবরোধে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ অচল হয়ে পড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা থেকে গত দুই দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ করে ফরিদপুর-বরিশাল, মাদারীপুর-ভাঙ্গা-ঢাকা মহাসড়কে বন্ধ করে যান চলাচল বাধাপ্রদান করে আন্দোলনকারীরা।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের হামিরদী ইউনিয়নের মনসুরাবাদ এলাকায় অর্ধশতাধিক এবং একই মহাসড়কের আলগী ইউনিয়নের সুয়াদি এলাকায় শতাধিক মানুষ মহাসড়কে বসে বিক্ষোভ শুরু করেন।
একইভাবে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের হামিরদী ইউনিয়নের পুখুরিয়া, হামিরদী ও নওয়াপাড়া এলাকায় মানুষ জড়ো হয়ে গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করেন। এতে ঢাকাগামী বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাসসহ শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। সকাল সাড়ে ৭টার পর থেকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা গোলচত্বরেও বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ থেকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করার গেজেট কোনোভাবেই তারা মানবেন না। ভাঙ্গা থাকবে ভাঙ্গাতেই- এ দাবিতে আমরা যতদিন প্রয়োজন, ততদিন রাস্তায় থাকব।
ভাঙ্গা থানার ওসি আশরাফ হোসেন সকাল নিউজকে বলেন, ‘উপজেলা চত্বরে আমাদের পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে, আইনশৃঙ্খলার যেন অবনতি না হয় সেদিকে আমাদের পুলিশ তৎপর রয়েছে।’
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের অবরোধ তৃতীয় দিনের মতো শুরু হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনীর অবস্থান জোরদার করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর-৪ আসনটি ছিল ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত। ফরিদপুর-২ আসন ছিল নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা নিয়ে। কিন্তু গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে দেশের ৪৬টি সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন করে।
ওই গেজেট অনুযায়ী ফরিদপুর জেলার দুটি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এর ফলে, ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে নগরকান্দা ও সালথা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।
সকাল নিউজ/এসএফ