দীর্ঘদিন ধরে যে টানাপোড়েন চলছে বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি নিয়ে। এর সমাধানে এবার আশার আলো দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, সরকার এই দাবিগুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। তাই নতুন করে কর্মসূচি দেওয়ার প্রয়োজন নেই, বরং সময় দিয়ে সমাধানের সুযোগ তৈরি করা দরকার।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে পেশাগত ইঞ্জিনিয়ারদের দাবিগুলোর যৌক্তিকতা যাচাই ও সুপারিশ প্রণয়নের জন্য গঠিত কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানও উপস্থিত ছিলেন।
ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘সরকারের দৃষ্টিতে বিষয়টি এখন শুধু একটি আন্দোলনের দাবি নয়, বরং বাস্তব সমস্যার অংশ। সরকার দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। এখন আন্দোলন করে লাভ নেই, আমাদের সময় দিতে হবে।’ সমস্যার সমাধানে তিন ধাপে আলোচনা চালানো হবে বলেও জানান তিনি।
প্রথমত, যারা আন্দোলন করছেন বা দাবি তুলছেন তাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা হবে। দ্বিতীয়ত, বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের অভিভাবক বা সংশ্লিষ্ট মহলের মতামত নেওয়া হবে। তৃতীয়ত, যেসব প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বেশি প্রকৌশলী নিয়োগ দেয়- যেমন পিডব্লিউডি, এলজিইডি ও পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড- তাদের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।
বর্তমানে ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশ তিন দফা দাবি তুলেছেন, আরেক পক্ষের দাবি সাত দফা। এ প্রসঙ্গে ফাওজুল কবির বলেন, ‘সরকারের ভূমিকা হবে দুপক্ষের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা। আমাদের কাজ হবে উভয় পক্ষকে এক টেবিলে আনা, যাতে সবার জন্য গ্রহণযোগ্য সমাধান বের হয়। আমরা নিরপেক্ষতার সঙ্গে সমস্যার ন্যায্য সমাধান করতে চাই।’
কমিটির অপর সদস্য সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান একদিনে সম্ভব নয়। আমাদের হাতে এক মাস সময় আছে। এ সময়ের মধ্যে সমস্যাগুলো গভীরভাবে অনুধাবন করে একটি সুস্পষ্ট সুপারিশ তৈরি করব। এরপর তা সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে তুলে ধরা হবে।’
ইঞ্জিনিয়ার শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে সরকারের এ উদ্যোগকে ইতিবাচক বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
সকাল নিউজ/এসএফ

