হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ সরাসরি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হিমঘরে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে তার সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছিল, বিমানবন্দর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদে নিয়ে আসা হবে হাদির মরদেহ। পরে নিরাপত্তাজনিত কারণে তা পরিবর্তন করা হয়।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজার সময়ও পরিবর্তন করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বেলা আড়াইটার পরিবর্তে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে হাদির নামাজে জানাজা ।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় হাদির মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
হাদির মরদেহের সঙ্গে সিঙ্গাপুর থেকে আসেন তার বড় ভাই আবু বকর। বিমানবন্দরে জাতীয় পতাকায় মোড়ানো হাদির কফিন বুঝে নিতে উপস্থিত ছিলেন হাদির বোন-জামাই আমিরুল ইসলাম এবং ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।
সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম প্রমুখ।
যেকোনও ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে হাদির মরদেহ দেশে পৌঁছানোর আগেই বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন স্থানে আগে থেকেই নেওয়া হয়েছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিমানবন্দরের বাইরে আগেই এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছিল। দেশে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দর ৮ নং গেইট-এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে-ফার্মগেট-মানিকমিয়া এভিনিউ হয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হিমঘরে পৌঁছায় শহিদ ওসমান হাদির মরদেহ।
এদিকে, রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যমুনাসহ ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের জন্য রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ওসমান শরিফ হাদি। তার মৃত্যুতে দেশজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।’
ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সকাল নিউজ/এসএফ

