ভয়েস অব আমেরিকার (ভিওএ) একাধিক বিদেশি কার্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। যদিও দেশটির আদালত সম্প্রচার সংস্থাটির পূর্ণাঙ্গ সংবাদ কার্যক্রম বজায় রাখার নির্দেশ দেয়ার পরও এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো। তথ্যসূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিওএ-র মূল প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ও ট্রাম্প-সমর্থক ক্যারি লেক ২৫ নভেম্বর কংগ্রেসে একটি নোটিশ পাঠিয়েছেন। তাতে ছয়টি বিদেশি সংবাদ ব্যুরো এবং চারটি বিদেশি বিপণন কার্যালয় বন্ধের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, কেনিয়ার নাইরোবি এবং চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগে অবস্থিত কার্যালয়গুলো বন্ধ হয়ে যাবে। এ ছাড়াও জার্মানি, থাইল্যান্ড এবং বতসোয়ানায় অবস্থিত ভিওএ রেডিও স্টেশনগুলোও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রয়োজন হলে ঠিকাদারি ব্যবস্থার মাধ্যমে কিছু সম্প্রচার চালিয়ে যাওয়া হতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদে ভিওএ-রর বৈশ্বিক পরিসর উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনাই তাদের মূল লক্ষ্য।
গত মার্চে প্রথম ট্রাম্প প্রশাসন ভিওএ বন্ধের উদ্যোগ নেয়। সে পরিকল্পনাকে সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত সংবাদমাধ্যম পুনর্গঠন ও সংকোচনের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। রেডিও ফ্রি এশিয়াসহ আরও কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যমও এই কাটছাঁটের টার্গেটে রয়েছে।
তবে এপ্রিলে এক মার্কিন ফেডারেল বিচারক ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ স্থগিত করে ভিওএ-র সেবাগুলো পুনরায় চালুর নির্দেশ দেন। সেই রায়ের পরও প্রশাসন কার্যালয়গুলো বন্ধের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে, যা আইনপ্রণেতা ও গণমাধ্যমের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
ভয়েস অব আমেরিকা বিশ্বের অনেক দেশেই স্থানীয় ভাষায় সংবাদ কার্যক্রম চালায়। বিশেষত গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ, এমন অঞ্চলগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিওএ। বিশ্লেষকরা বলেন, এই বিদেশি ব্যুরোগুলো বন্ধ হয়ে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সফট পাওয়ার’ দুর্বল হতে পারে। একইসঙ্গে লাখো শ্রোতা-দর্শরাও তথ্যসেবা বঞ্চিত হবেন।
সকাল নিউজ/এসএফ

