ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে অভিবাসন নীতি আরও কঠোর করার ধারাবাহিকতায় এবার এসেছে কঠোর ঘোষণা। ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনার জেরে ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের আশ্রয় আবেদনের নিষ্পত্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ান তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যম দুটি জানায়, ‘মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সেবা (ইউএসসিআইএস)’ বিভাগে পরিচালক জোসেফ এডলো গতকাল শুক্রবার সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, যতক্ষণ না প্রত্যেক বিদেশি নাগরিককে (যারা যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় প্রার্থী) সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাচাই–বাছাই করা যায়, ততক্ষণ আশ্রয় সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকবে।
এ ঘোষণাটি এমন সময় এল, যখন ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে গুলি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আরও জোরাল করা হয়েছে। দুই সেনার একজন মারা যাওয়ায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছেন ওয়াশিংটন ডিসির অ্যাটর্নি। আর ওই ঘটনার তদন্তকারীরা এখনো হামলার উদ্দেশ্য খুঁজছেন।
এই পদক্ষেপ আসে কয়েক ঘণ্টা পর, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে যুক্তরাষ্ট্র ‘সমস্ত তৃতীয় বিশ্বের দেশ’ থেকে অভিবাসন ‘স্থায়ীভাবে স্থগিত’ করার পরিকল্পনা করছে। বুধবারের হামলায় আহত এক মহিলা ন্যাশনাল গার্ড সদস্যের মৃত্যুর কথা জানানোর পর এই মন্তব্য করেন তিনি। হামলার জন্য একজন আফগান নাগরিককে দায়ী করা হয়েছে।
ট্রাম্প কোন কোন দেশকে লক্ষ্য করে এমন পরিকল্পনা করছেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও তথ্য জানা যায়নি। বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে এবং ইতোমধ্যেই জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এর আগে তিনি অবৈধভাবে প্রবেশ করা অভিবাসীদের গণবহিষ্কার, শরণার্থী গ্রহণের সংখ্যা ব্যাপক কমানো এবং যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিদের স্বয়ংক্রিয় নাগরিকত্ব দেয়ার বিধান বাতিলের মতো উদ্যোগ নিয়েছেন। তথ্যসূত্র: বিবিসি, গার্ডিয়ান।
সকাল নিউজ/এসএফ

